অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বলেছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ আটক করে আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। একই সাথে আদালত ইরানকে ক্ষতিপূরণ দিতে ওয়াশিংটনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। আরো পরে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক বিচার আদালত সুস্পষ্ট করে বলেছে, ওয়াশিংটন ইরানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানির ১৭৫ কোটি ডলার সমমূল্যের সম্পদ আটক করেছে যার কোনো যুক্তি নেই। আদালত অবশ্য বলেছে যে, ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে যে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে আমেরিকা, সে ব্যাপারে রুল দেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই তাদের।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই রায়ের পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এর মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে যে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের অবস্থান সঠিক এবং আমেরিকা বেআইনি আচরণ করে আসছে। বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, জনগণের অধিকার আদায় করা তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব। এজন্য তারা সব ধরনের কূটনৈতিক, আইনগত ও বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে প্রস্তুত।
১৯৫৫ সালে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর আমেরিকা সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে এবং আদালতকে ব্যবহার করে মার্কিন সরকার ইরানের সম্পদ আটক করে। এর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছিল।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালে রায় দিয়েছিল যে, ১৯৮৩ সালে লেবাননে মার্কিন মেরিন কোরের ঘাঁটিতে ভয়াবহ বোমা হামলায় কয়েকশ সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের পরিবার পরিজনকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে ইরানের আটক করা সম্পদ ব্যবহার করা যাবে।
Leave a Reply